সিরাজগঞ্জে স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে দাড়ে দাড়ে স্বপ্না বানু
এস এম হাসান রেজা
(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
আর্থের লোভে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে স্বপ্না বানু (৩৫) এক নারীকে বিয়ে করে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছেন প্রতারক স্বামী মালেক। স্বপ্না বানু নোয়াখালির হাতিয়া থানার চরকিন গ্রামের জিয়াউল হকের মেয়ে এবং স্বামী মালেক সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার রুয়া পাড়া গ্রামের শাহাজানের ছেলে।
দীর্ঘদিন স্বামীর কোন খোঁজ খবর না পেয়ে শিশু সন্তানকে সাথে নিয়ে স্বামীর বাড়ি সলঙ্গায় আসলে মালেকের বড় স্ত্রী মর্জিনা তাকে বেধড়ক মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। অসুস্থ্য শরীর নিয়ে স্বপ্না বানু স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে দাড়ে দাড়ে সাহায্য প্রার্থনা করেন।
জানা যায়, মালেকের প্রথম স্ত্রীর এক ছেলে ও এক মেয়ে সহ আরো কয়েকটি বউ আছে। বিভিন্ন জেলায় নিজেকে লেবার ঠিকাদার হিসেবে পরিচয় দিয়ে বসবাস শুরু করে।
কিছু টাকা আছে এমন নারীকে টার্গেট করে সম্পর্ক স্থাপন করার পর বিয়ে করেন। কিছুদিন সংসার করে একটা সময় মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান প্রতারক মালেক।
স্বপ্না বানু জানান, ২০১৫ সালে মালেকের সাথে চট্রগ্রামে বিয়ে হয়। আমাদের চার বছরের একটা বাচ্চা আছে। মালেক ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
অনেক দিন কোন খোঁজ খবর না পেয়ে আমি তার খোঁজে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় আসি। আমার আসার কথা জানতে পেরে মালেক পালিয়ে যায় এবং মালেকের বড় স্ত্রী ও মেয়ে রাস্তার উপড়ে আমাকে অনেক মারধর করে আহত করে ।
আমার ছেলেকেও পানিতে ফেলে দিতে চায়। তখন আমি আমার ছেলেকে নিয়ে সলঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নিকট সাহায্য চাই। আপনারা আমাকে ও আমার সন্তানকে বাঁচান।এ বিষয়ে সলঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বলেন, স্বপ্নাবানু আজকে আমার নিকট এসেছে। আমি তার ঘটে যাওয়া ঘটনা শুনেছি। প্রতারক মালেকের বিষয়ে আমি আগে থেকে জানি।
সে একাধিক বিয়ে সহ তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমি বিষয় টি স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় এবং আমি নিজে বিষয়টি খুব দ্রুত ভাবে মালেকের পরিবারের সাথে বসে স্বপ্নাবানু কে তার অধিকার ফিরিয়ে দিতে চেষ্টা করবো।
মালেকের বড় স্ত্রী মর্জিনা জানান, আমার স্বামী আমার অনুমুতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। সে আমার জীবনটা নষ্ট করেছে। সে আমাদের ঠিকঠাক কোন খোঁজ খবর রাখে না।সলঙ্গা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আতিকুল জানান, বানু আমার কাছে এসেছে ঘটনাটা সত্য। মালেকের সাথে যোগাযোগ করে আমরা স্থানীয় ভাবে খুব দ্রুত একটা সমাধান করবো।
এস এম হাসান রেজা
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
তাং৬/৭/২২